বাফুফেতে শেষ হচ্ছে কাজী সালাহউদ্দিন অধ্যায়
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) শেষ হতে চলেছে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের ১৬ বছরের অধ্যায়। আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলের এই সাবেক তারকা ফুটবলার।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের প্রতিটি অঙ্গনেই লেগেছিল পালাবদলের হাওয়া। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও। পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিসহ অন্যান্য পদেও।
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ফুটবল-সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ দুই দফায় বাফুফে সভাপতি সালাহউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে। কিন্তু গত ১৩ আগস্ট সালাহউদ্দিন জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না এবং আবারও নির্বাচনে দাঁড়াবেন।
তবে এই ঘোষণার এক মাস পরেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন বাফুফে সভাপতি। শনিবার বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, “আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে – আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।”
২৬ অক্টোবরের নির্বাচন পেছানোর দাবি থাকলেও এটি সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের বাফুফের নির্বাচন আগামী ২৬ অক্টোবর। এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে কিছু মানুষের চাওয়া ছিল, নির্বাচনটা যেন কিছুটা পেছায়। তো সেই অনুরোধ অনুযায়ী আমরা ফিফাকে চিঠি দিয়েছিলাম। ফিফা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে যে, নির্বাচন কোনোভাবে একদিনও পেছানো যাবে না।”
২০০৮ সালে প্রথম বাফুফের দায়িত্বে আসেন সালাহউদ্দিন। ২০১২ সালে পরের নির্বাচনে জয়ী হন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেও সভাপতি পদে নিজের আসন ধরে রাখেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক অসুস্থায় ফেডারেশনে খুব একটা না এলেও দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়।
মন্তব্য করুন: