জানুয়ারির শুরুতেও সান্তোসে ফেরার পরিকল্পনা ছিল না নেইমারের
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সবকিছুই কেমন যেন চোখের পলকে হয়ে গেল। গত সপ্তাহেও নেইমার ছিলেন সৌদি প্রো লিগের দল আল-হিলালে। আর এখন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফিরে গেছেন তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। তবে জানুয়ারির শুরুর দিকেও ব্রাজিলের দলটিতে ফেরার কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে আল-হিলাল জানায়, দুই পক্ষের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে নেইমারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদের ছয় মাস বাকি থাকতে তা বাতিল করা হয়েছে। এর পরদিন সান্তোসের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তেইসেইরা নেইমারের ফেরার বিষয়টি জানান।
২০২৩ সালের আগস্টে ৯ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে পিএসজি ছেড়ে আল-হিলালে যোগ দেন নেইমার। তবে সৌদি ক্লাবটিতে সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। ক্লাবে যোগ দেওয়ার কয়েকমাস পড়েই বাঁ হাঁটুর মারাত্মক চোটে পড়েন তিনি। এরপর প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকার পর গত অক্টোবরে আবারও ফেরেন দলের জার্সি গায়ে। কিন্তু দুই ম্যাচ পর আবারও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি।
চোটের কারণে আল-হিলালের হয়ে দেড় বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র সাতটি ম্যাচে মাঠে নামেন নেইমার। এ সময় দলের হয়ে গোল করেন একটি।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নেইমারকে বরণ করে নেয় সান্তোস। সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এই ফুটলার জানান, সান্তোসে ফেরার বিষয়টি তার পরিকল্পনায় না থাকলেও কিছু সিদ্ধান্ত ফুটবলের সাধারণ যুক্তির বাইরে চলে যায়।
“আমি জানুয়ারির শুরুতেও ভাবিনি যে সান্তোসে ফিরে আসব বা আল-হিলাল ছাড়ব। সেখানে আমি এবং আমার পরিবার খুব সুখী ছিলাম। আমি দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছিলাম এবং খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম। এরপর কিছু জিনিস হলো এবং আমাকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ধীরে ধীরে আমি অনুশীলনে হতাশ অনুভব করতে থাকি। প্রতিদিনের রুটিনে ভালো লাগছিল না। এরপর সান্তোসে ফেরার সুযোগ এলো এবং আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি।”
“প্রথম দিন থেকেই আমি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম এবং বাবাকে জানাই। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল। সবাই খুশি। এখন আমি নতুন উদ্যম নিয়ে ফিরেছি। মনে হচ্ছে, আমি আবার ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি। আমি খুব খুশি, উচ্ছ্বসিত এবং খেলতে মুখিয়ে আছি।”
২০০৯ সালে ১৭ বছর বয়সে সান্তোসের হয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন নেইমার। এ সময় খুব দ্রুতই তিনি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল প্রতিভা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। দলের হয়ে ২২৫ ম্যাচে ১৩৬ গোল ও ৬৪টি অ্যাসিস্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। ২০১১ সালে প্রায় ৫০ বছর পর সান্তোসকে লাতিন আমেরিকা ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা লিবার্তাদোরেস জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এরপর ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় পাড়ি জমান নেইমার।
মন্তব্য করুন: