হলান্দের চেয়ে সিটির হয়ে দ্রুত হ্যাটট্রিক করে আলো ছড়ালেন মারমুশ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর গোল করেই যাচ্ছেন আর্লিং হলান্দ। দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমে গড়েন প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এরই মধ্যে জিতেছেন দুটি গোল্ডেন বুট। করেছেন ১১টি হ্যাটট্রিক। তবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকেই নরওয়েজিয়ান এই গোলমেশিনকে পেছনে ফেলেছেন দলের নতুন খেলোয়াড় ওমর মারমুশ।
শনিবার নিউক্যাসেলের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে উঠে এসেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
জানুয়ারির দলবদলে জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ৫ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডে মারমুশকে দলে নেয় সিটি। নিজের খেলা প্রথম চার ম্যাচে গোলশূন্য থাকার পর এদিন ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ১৯তম, ২৪তম ও ৩৩তম মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। হ্যাটট্রিক করতে মিশরের এই ফরোয়ার্ডের সময় লেগেছে ১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড, যা হলান্দের চেয়েও কম সময়ে।
সিটির হয়ে গোল বন্যা বইয়ে দেওয়া হলান্দ নিজের দ্রুততম হ্যাটট্রিক করতে সময় নেন ১৭ মিনিট। নিজের প্রথম মৌসুমে উলভারহ্যাম্পটনে এই হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সে মৌসুমে লিগে রেকর্ড ৩৬ গোলসহ ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে মোট ৫২ গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা।
গত এক বছরে হলান্দ ছাড়া সিটির হয়ে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় কোনো ফুটবলার হলেন মারমুশ। এর আগে হলান্দ ছাড়া অন্য খেলোয়াড় হিসেবে ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে শেষ হ্যাটট্রিক করেছিলেন ফিল ফোডেন।
মৌসুমের মাঝপথে সিটির অবিশ্বাস্য ছন্দপতনের মূল কারণ ছিল হলান্দের ছন্দ হারানো। সে সময় ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পায় গত চার আসরের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এরই সঙ্গে তারা শিরোপা দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে যায়।
দলের গোল সমস্যার সমাধানে স্পোর্টিং ডিরেক্টর চিকি বেগিরিস্তাইন যখন মারমুশের নাম প্রস্তাব করেন, তখন জার্মানিতে নিজের পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন গুয়ার্দিওলা। ম্যাচ শেষে সেই ঘটনা জানান সিটি কোচ নিজেই।
“যখন চিকি আমার কাছে এল, আমি বললাম, আমাদের যেরকম সময় যাচ্ছে, যত বেশি খেলোয়াড় আসবে তত ভালো। আমি জার্মানিতে আমার কিছু পরিচিতদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের মতামত চাইলাম এবং তারা তার আচরণ, অনুশীলনের ধরন ও গোল করার দক্ষতা নিয়ে ইতিবাচক মত দিলেন।”
“সে তরুণ এবং এখানে এসেছে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে। সে জন্য এটা ক্লাব সিদ্ধান্ত নেয়। তারাই সবসময় শেষ সিদ্ধান্ত জানায়।”
চলতি মৌসুমের অর্ধেক সময়েই ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে ২০ গোল করে নজর কাড়েন মারমুশ। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সিটির সঙ্গে ২০২৯ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত চুক্তি করেছেন।
মন্তব্য করুন: