অতিরিক্ত সময়ের গোলে রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপা বার্সেলোনার
২৭ এপ্রিল ২০২৫

আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকা বার্সেলোনার কাছে প্রথমার্ধে পাত্তাই পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। তবে বিরতির পর কিলিয়ান এমবাপ্পে মাঠে নামতেই বদলে যেতে শুরু করেছিল সেই চিত্র। ফরাসি তারকার ছোঁয়ায় এক পর্যায়ে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে সমতায় ফিরে খেলা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় বার্সেলোনা। সেখানে ম্যাচের শেষ দিকে জুল কুন্দের দুর্দান্ত গোলে কোপা দেল রের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে হানসি ফ্লিকের দল।
শনিবার রাতে সেভিয়ার মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রিয়ালকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ৩২তম শিরোপা ঘরে তোলে বার্সেলোনা। টুর্নামেন্টে আর কোনো দলের ২৪টির বেশি শিরোপা নেই।
বার্সেলোনা ম্যাচের ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য শট নেয় ২২টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৯টি। অন্যদিকে ১৫টি শটের বিপরীতে রিয়াল লক্ষ্যে রাখতে পারে ৭টি।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন পেদ্রি। পাল্টা-আক্রমণে লামিনে ইয়ামালের কাছ থেকে পাওয়া বল বক্সের বাইরে থেকে জালে জড়ান স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। এরপর আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা জালের দেখা পায়নি বার্সেলোনার।
আক্রমণে ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে এমবাপ্পেকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। তবে আক্রমণের ধার বজায় রাখে বার্সেলোনাই। সেই চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ভিনিসুস জুনিয়র ও এমবাপ্পে। কিন্তু গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনিকে ফাঁকি দিতে পারেননি কেউই।
৭০তম মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে ফ্রি-কিকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। এরপর একের পর এক আক্রমণে বার্সেলোনাকে চেপে ধরে তারা। পরের সাত মিনিটের ভেতর টানা তিনটি কর্নার পায় তারা। সেখান থেকে ৭৭তম মিনিটে তৃতীয় কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে দেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। ৮৪তম মিনিটে দলের বিপদ ডেকে আনেন কোর্তোয়া নিজেই। মাঝমাঠ থেকে আসা বল নিয়ে আন্টোনিও রুডিগারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান ফেররান তোরেস। আশেপাশে আর কোনো ডিফেন্ডার না থাকায় এগিয়ে আসেন কোর্তোয়া। কিন্তু তাকে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান তোরেস।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তবে প্রতিবাদ জানায় রিয়ালের খেলোয়াড়রা। এরপর ভিএআর মনিটরে দেখে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধটা অনেকটাই সাদামাদা কাটে। দ্বিতীয়ার্ধেও সেভাবেই চলছিল। একটা সময় মনে হচ্ছিল শিরোপা নিষ্পত্তি হয়তো টাইব্রেকারেই হবে। কিন্তু সেই সমীকরণ বদলে দেন কুন্দে। ১১৬তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে এসে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচের একদম অন্তিম সময়ে ফ্রি-কিকের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রিয়ালের বেঞ্চ। রেফারির দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে লাল কার্ড দেখেন রুডিগার। পরে লাল কার্ড দেখেন লুকাস ভাসকেসও। শেষ পর্যন্ত মৌসুমের প্রথম বড় শিরোপা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
মন্তব্য করুন: