অফসাইডের নিয়ম কী?
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রিয় দল গোল করল। আপনি সে গোল উদযাপনও করলেন তুমুল উল্লাসে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর জানলেন, অফসাইডে গোল বাতিল! মেজাজাটা ঠিক থাকে, বলুন? তা এই অফসাইড হয় কিভাবে? কী এর নিয়ম? প্রাথমিক ধারণা আপনার নিশ্চয়ই আছে। তবে সবটাই কি সঠিক জানেন?
অফসাইডের একেবারে মৌলিক নিয়ম হল, সতীর্থ বল পাস দেওয়ার সময় এক দলের কোনো খেলোয়াড় যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে তাঁর সামনে প্রতিপক্ষের অন্তত দুজন ফুটবলার নেই, তাহলে সেটি অফসাইড। জেনে রাখা দরকার, মাথা, শরীরের অংশ ও পা অফসাইড নিয়মের আওতাভুক্ত। হাত নয়। অর্থাৎ, গোল করা যায় শরীরের এমন অংশ প্রতিপক্ষের শেষ দুই খেলোয়াড়ের আগে থাকলেই কেবল অফসাইড হবে।
এখানে আবার গোলকিক, কর্নার ও থ্রো-ইন অফসাইডের আওতার বাইরে। ওই সময় একজন খেলোয়াড় যে কোনও জায়গা থেকে বল সরাসরি রিসিভ করতে পারবেন। অফসাইড হবেন না।
মাঠের ভাগটাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। দেখা গেল প্রতিপক্ষের অন্তত ১০ জন ফুটবলার সেন্টার লাইনের ওপাশে অন্য দলের অংশে রয়েছেন। ওই সময় যদি কেউ সেন্টার লাইনের এপাশ থেকে সতীর্থের পাস রিসিভ করেন, তাহলেও তিনি অফসাইড হবেন না। তখন অনসাইডে থাকার জন্য তাঁর সামনে প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলার থাকার বাধ্যবাধকতা নেই। এমনকি প্রতিপক্ষের একজনও যদি না থাকেন, তবুও তিনি অফসাইড হবেন না।
আবার অন্য দিকও আছে। দেখা গেল একজন খেলোয়াড় অফসাইড পজিশনে আছেন, কিন্তু খেলার ওই নির্দিষ্ট মুভটির সঙ্গে তাঁর সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। ওই সময় অনসাইডে থাকা তাঁর অন্য কোনো সতীর্থ বল রিসিভ করলে সেটি অফসাইড হবে না।
মোটা দাগে এই হচ্ছে অফসাইডের নিয়ম। বোঝার জায়গাটা আরেকটু স্পষ্ট হল তো?
মন্তব্য করুন: