ধর্ষণের দায়ে সন্দ্বীপ লামিচানের ৮ বছরের জেল
১০ জানুয়ারি ২০২৪
অপকর্ম করে সাজা থেকে রেহাই পেলেন না নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে। এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নেপালের একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানার সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। খবরটি জানিয়েছে দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।
লামিচানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে তিনি একজন তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন। ভুক্তভোগী তরুণী মামলা দায়ের করলে লামিচানেকে নিষিদ্ধ করে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। বের হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। লামিচানে তখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরা নিয়ে শুরু করেন টালবাহানা। নেপাল পুলিশ তখন ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার ঘোষণা দিলে দেশে ফিরেন লামিচানে। সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর আদালত থেকে জামিন পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন লামিচানে। যা নিয়ে নেপালের ক্রিকেটে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এমনকী প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা লামিচানের সঙ্গে হাত মেলাননি! লামিচানে অবশ্য বরাবরই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। গত ডিসেম্বরে এ মামলায় লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অবশেষে বুধবার ঘোষিত হয় মামলার রায়। কাঠমান্ডুর জেলা আদালতের কর্মকর্তা রামু শর্মা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আদালত সন্দ্বীপ লামিচানেকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।”
মামলায় ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ‘নাবালিকা’ বলে যে দাবি করা হয়েছিল- তা নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় লামিচানে আদালতে ছিলেন না। তার আইনজীবী সরোজ ঘিমিরে এএফপিকে বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। ২৩ বছর বয়সী লামিচানেকে এক সময় নেপাল ক্রিকেটের ‘পোস্টার’ বয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার বিপুল চাহিদা। এখন লামিচানের ক্যারিয়ারের কী হবে- সেটা সময়ই বলে দেবে।
মন্তব্য করুন: