আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি
১৯ এপ্রিল ২০২৪
যে কোনো খেলাতেই আবাহনী আর মোহামেডানের মুখোমুখি হওয়া মানে তীব্র উত্তেজনা ছড়ানো। এক সময়ের সেই সাড়া জাগানো আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ এখন আর দেখা না গেলেও রেশ থেকে গেছে। চলতি হকি লিগে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিল ঐতিত্যবাহী দুই ক্লাব। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ম্যাচে শুরু হয় মারামারি। শেষ পর্যন্ত আবাহনীকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
রাজধানীর মাওলানা ভাষানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতেই ভারতীয় খেলোয়াড় আফ্ফান ইউসুফের পেনাল্টি কর্নারের গোলে আবাহনী এগিয়ে যায়। ২৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন পুষ্কর খীসা। কিন্তু মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় ফাইজাল বিন সারির চমৎকার এক হ্যাটট্রিকে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানই তৃতীয় কোয়ার্টারে এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে! ম্যাচ যখন তুমুল জমে উঠেছে, ঠিক তখনই ঘটল অঘটন।
৪২তম মিনিটে আবাহনীর একটি পেনাল্টি কর্নার ঠেকিয়ে দেয় মোহামেডান। বল ডেড হওয়ার পর আফ্ফান ইউসুফের সঙ্গে মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় জুল পিদাউস বিন মিজানের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই সময় মোহামেডান ও আবাহনীর একাধিক খেলোয়াড় হাতাহাতিতে জড়িয়ে যান, কয়েক মিনিটের মাঝে সেটা গুরুতর আকার ধারণ করে। দুই দলের ডাগ-আউটের খেলোয়াড়েরাও মাঠে নেমে মারামরিতে যোগ দেন।
বেশ কিছুক্ষণ হাতাহাতি চলার পর আম্পায়ার ও কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দুই দলের খেলোয়াড়দের আলাদা করা সম্ভব হয়। এরপর মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ও তানভীর সিয়াম এবং আবাহনীর মো. নাঈমুদ্দিনকে লাল কার্ড দেখান আম্পায়ার। হলুদ কার্ড দেখানো হয় মোহামেডানের জুল পিদাউস ও আবাহনীর আফ্ফান ইউসুফকে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাঠ ছেড়ে চলে যান মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা।
নাটকের এই পর্যায়ে আবাহনীর খেলোয়াড়েরা মাঠেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। বারবার অনুরোধের পরও মোহামেডান দল আর মাঠে নামেনি। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে দুই আম্পায়ার ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান। লিগের বাইলজ অনুযায়ী মোহামেডান খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য আবাহনীকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন: