অলিম্পিকসের পদকে আইফেল টাওয়ারের টুকরা

২৮ জুলাই ২০২৪

অলিম্পিকসের পদকে আইফেল টাওয়ারের টুকরা

অলিম্পিকসে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি অ্যাথলেটের স্বপ্নই থাকে দেশকে পদক জেতানো। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদকগুলো দেওয়া হয়, যার সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বর্ণপদক। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, এই স্বর্ণপদকগুলো পুরোটাই কি সোনা দিয়ে বানানো হয়? পদকের পুরোটাই সোনা দিয়ে বানানো হোক আর না হোক, এবারের প্যারিস অলিম্পিকসের যে কোনো পদকজয়ী অ্যাথলেটরা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন ফ্রান্সের ঐতিহাসিক আইফেল টাওয়ারের কিছু অংশও! এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)

এবারের অলিম্পিকস পদকের তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিক হলো প্রতিটি পদকের সঙ্গেই রয়েছে আইফেল টাওয়ারের লোহার টুকরা। পদকের যে পাশে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকসের লোগো আছে সেটি আইফেল টাওয়ারের লোহার ষড়ভূজাকার পাতের ওপর খোদাই করা।

অপর পাশের নকশার মধ্যে আছে পাঁচ বৃত্তের অলিম্পিকের প্রতীক, গ্রিসে আয়োজিত প্রাচীন অলিম্পিকস স্টেডিয়ামের সামনে গ্রীক পুরাণের বিজয়ের দেবতা নাইকি। নকশায় এর পেছনে দুপাশে আছে এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস আইফেল টাওয়ার।

প্যারিস অলিম্পিকসের জন্য বানানো রৌপ্য, স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ পদকআইফেল টাওয়ারের অংশ ব্যবহারের বিষয়ে আইওসির তরফ থেকে বলা হয়, পদক তৈরির জন্য টাওয়ারের কিছু লোহার টুকরো একেবারেই খুলে নেওয়া হয়েছে। প্যারিস ফ্রান্সের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আইফেল টাওয়ার পরিচালনা করা কোম্পানি এই আসল টুকরোগুলো দিয়েছে।

অলিম্পিকসের ৩৩তম আসরে ৩২৯টি ইভেন্টের স্বর্ণপদকের জন্য সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট অংশ নিয়েছে। তবে বাস্তবে এই পদকগুলোর পুরোটা সোনা দিয়ে তৈরি করা হয় না। আইওসির নিয়ম অনুযায়ী, স্বর্ণপদকগুলোতে সাড়ে ৯২ শতাংশ রুপা ব্যবহার করা হয়। এর সঙ্গে থাকে গ্রামের মতো সোনা। ফোর্বসের মতে, একটি স্বর্ণপদকের বাজারমূল্য প্রায় ৯৫০ ডলার।

অন্যদিকে রৌপ্যপদকের প্রায় পুরোটাই রুপা দিয়ে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে কিছু পরিমাণ লোহাও থাকে। আর ব্রোঞ্জপদকের জন্য বেশির ভাগ অংশ তৈরি হয় তামা দিয়ে। এর সঙ্গে কিছু পরিমাণ দস্তা লোহা থাকে।

মন্তব্য করুন: