ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলা এই অলিম্পিয়ান কে?
১ আগস্ট ২০২৪
শুটিংয়ের মিশ্র ইভেন্টের সোনার লড়াই চলছিল। সার্বিয়া ও তুরস্কের প্রতিযোগীরা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার নিয়মিত সরঞ্জাম পরেই নেমেছিলেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তুরস্কের ইউসুফ দিকেচ। কোনো ধরণের সরঞ্জাম ছাড়াই ৫১ বছর বয়সী এই শুটারের একদম সাদামাটা অংশগ্রহণ বেশ আলোড়ন তুলেছে ইন্টারনেটে। আর এভাবে অংশ নিয়ে জিতেছেন রৌপ্যপদকও।
মঙ্গলবার প্যারিস অলিম্পিকসে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র ইভেন্টের ফাইনালে সার্বিয়ার মুখোমুখি হয় তুরস্ক। ম্যাচ শেষে স্বর্ণপদক জয়ী সার্বিয়ার চেয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এখন দিকেচ। তার গায়ে জড়ানো তুরস্কের জার্সি। আর চোখে সাধারণ একটি চশমা ছাড়া কানে ছিল এক জোড়া ছোট্ট ইয়ারমাফ, যা শব্দ আটকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে বাকি তিন প্রতিযোগী ছিলেন সুসজ্জিত শুটিং সরঞ্জামে। চোখে শুটিংয়ের জন্য তৈরি করা বিশেষ চশমা, কানে শব্দনিরোধক বড় হেডফোন।
দিকেচের আলোচনায় আসার মূল কারণ তার একদম সাদামাটা ভঙ্গিতে তার অংশগ্রহণ। এক হাত পকেটে রেখে পিস্তল তাক করে লক্ষ্যে শুট করছেন। তাকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, তিনি অলিম্পিকসে অংশ নিতে এসেছেন।
৫১ বছর বয়সী এই শুটার অলিম্পিকসে প্রথম অংশ নেন ২০০৮ সালে। এরপর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ আসরেও অংশ নেন তিনি। আর এবার অংশ নিয়ে গড়েছেন ইতিহাস। জিতেছেন নিজের প্রথম পদক।শুধু তাই নয়, সতীর্থ সেভাল লাদিয়া তারহানকে তুরস্ককে এনে দিয়েছেন শুটিংয়ে দেশটির প্রথম অলিম্পিক পদকও।
সাদামাটা অবস্থায় অংশ নেওয়া নিয়ে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিকেচ বলেন, “আমার মতে, দুই চোখ দিয়ে শুটিং করা ভালো। এই নিয়ে আমি অনেক গবেষণা করেছি। তাই আমার কোনো সরঞ্জাম লাগেনি।”
একসময় তুরস্কের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন দিকেচ। শুটিংয়ের আগ্রহের শুরুটাও হয় সেখান থেকেই। আঙ্কারার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শারীরিক শিক্ষার ও খেলাধূলার ওপর ডিগ্রিও আছে তার।
মন্তব্য করুন: